সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ১৫ হাজার অভিবাসী
সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (০৩ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৪ হাজার ৯৫৫ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
[quads id=2]
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ৮০ জনকে, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনের তিন হাজার ৮৮ জন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই হাজার ৭৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগে ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। অভিযানে অবৈধ উপায়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[quads id=2]
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫৭ হাজার ৭৮৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যাবাসনেরও চেষ্টা চলছে।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থেকে ৫২ হাজার ৪০১ জনকে দেশে ফেরাতে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ২৫৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও এক হাজার ৭৬৩ জনকে ফেরত পাঠাতে নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
[quads id=2]
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে। সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি সরকার এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।